Home University Life Review : Part 2 ft আমার মা
Post
Cancel

University Life Review : Part 2 ft আমার মা

ছোটবেলায় আমাদের কে কিন্ডারগার্ডেনে আমাদের শিক্ষকরা আমাদের সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিত্ব নিয়ে ৫ থেকে ১০ লাইনের প্যারাগ্রাফ লিখতে বলতেন। Most of the time, আমার সবচেয়ে প্রিয় আর কেও না, আমার মা-ই হতেন। প্যারাগ্রাফ এর শেষে খুব সুন্দর করে একটা এন্ডিং দিতাম, আমি আমার মাকে অনেক ভালবাসি। সময়ের সাথে আমরা যত matured হই, আমাদের চিন্তাধারা অনেকটাই পরিবর্তিত হয়। তাই আজকে সম্পূর্ণ fresh perspective থেকে “আমার মা” নিয়ে রচনা লিখব। অনেক বড় লিখা, তাই সময় না থাকলে skip করে যাবেন।

আমার আম্মু একজন জীবন্ত google map। ঢাকা শহরের কোন রাস্তা দিয়ে গেলে কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে, সেটা আম্মুর খুব ভাল করেই জানা। বলা বাহুল্য, যেদিন সকালে আম্মু অফিসে যাওয়ার জন্যে আমার সাথে বের হবে না, সেদিন সকাল আমি এমআইএসটি দেরি করে পৌঁছাবো, এইটা fixed। আমার রাস্তাঘাট এর একমাত্র ভরসা আমার আম্মু।

গত বছরের কোন এক জরিপ অনুযায়ী, আমাদের দেশে ভারসিটি স্টুডেন্টদের সুইসাইডাল টেনডেন্সির একটা major weighted reason হচ্ছে পারিবারিক সমস্যা। একজন ভারসিটি স্টুডেন্ট হিসেবে, আপনার পড়াশুনার চাপের পাশাপাশি যদি বাবা-মায়ের সাথে খারাপ সম্পর্ক কিংবা বোঝাপড়ার ঘাটতি যোগ হয়, আপনাকে অনেকখানি mental stress এর মধ্যে দিয়ে যাইতে হবে। আল্লাহর হাজার রহমত, আমি আমার দুঃখ কষ্টের অনেকটাই আমার আম্মুর সাথে শেয়ার করতে পারসি mostly। এন্ড এইটা বলতে আমার কোন লজ্জা/দ্বিধা নাই, as most of the people of my age think it really awkward to share everything with our parents at this age. আমার জীবনের অনেক্ষানি complications কমে গেসে এর জন্যে।

এখন আসি, সব শেয়ার করতে পারার মুল রহস্য নিয়ে। আমি মনে প্রানে একটা কথা বিশ্বাস করি, আমার মা যদি যথেষ্ট শিক্ষিত, উপস্থিতবুদ্ধিসম্পন্ন, উচিৎ সময়ে উচিৎ কথা বলা এইসব গুনাবলি এর অধিকারি না হতেন, আমার পক্ষে জীবনেও এত সহজে তাকে আমার সমস্যাগুলা বুঝায় বলা সম্ভব হইত না। This is a fact you cannot change. একজন শিক্ষিত মা যতটা ভালভাবে নিজের সন্তানকে self-confident অ্যান্ড bold personality develop করতে সাহায্য করতে পারবেন, একজন কম শিক্ষিত মা সেইটা পারবে্ননা। পারলেও তাকে অনেক খানি effort দিতে হবে। কারন তাকে তখন এইটুকুন বিশ্বাস আগে রাখতে হবে যে, আর্থসামাজিক/পারিপার্শ্বিক/পারিবারিক চাপ যেকোনো কারনেই হোক, আমি যেই শিক্ষা আর যোগ্যতার অভাবে অনেক বড় কোন স্বপ্ন দেখার সাহস করতে পারি নাই কখনো, যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চেয়েও থেমে গেসি কারন আরও কথা শুনতে হবে নিজের যোগ্যতা নিয়ে, আমার মেয়েকে আমি সেই শিক্ষা থেকে কখনই বঞ্চিত করবনা।

এইটুকুন পড়ে আমি নিশ্চিত যে, অনেকেই আমাকে এখন feminist ভাব্বেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে বলসি দেখে মনে করবেন, আমি সারাক্ষন ঝগড়া করার/রাগ ঝাড়ার mood এ থাকি, তাদের জন্য বলে রাখি,

প্রথমত, আমি feminist না। আপনি আমাকে feminist মনে করলেও আমার যায় আসেনা। দ্বিতীয়ত, বিনা কারনে রাগ ঝাড়া আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার পিছনে আকাশ-পাতাল তফাত আসে, সেইটা আপনার না জানা থাকলে, আমার কিছু করার নাই। এখানে আরেকটা পয়েন্ট আসে, যেই মানুষটার কথার আপনার নিজের কাছে কোন ভ্যালু নাই, তার সাথে ঝগড়ায় জড়ানো আপনার জন্য waste of time হবে। so নিজের ভাল বুঝেই সিদ্ধান্ত নিবেন আর কি।

Last of all, আজকে নারীদিবস/মা দিবস কোনটাই না, অনেকদিনের মিশ্র অভিজ্ঞতা থেকে কথাগুলা লিখা। ধৈর্য সহকারে পড়ার জন্যে ধন্যবাদ।

“You never know how strong you are until being strong is the only choice you have.”

And still আমি আমার মাকে অনেক ভালবাসি।

This post is licensed under CC BY 4.0 by the author.

University Life Review : Part 1

ট্রেনেদের ঠিকানা