Home ট্রেনেদের ঠিকানা
Post
Cancel

ট্রেনেদের ঠিকানা

“যদি ই-ই-ই হাওয়া জেনে যায় ট্রেনেদেরই ঠিকানা আমি ই-ই ছেড়ে যাবো সব, ফিরে তো আর আসবো না তবুও কিছু ওও কথা পড়ে থাকে এএ বাতাসে…” গুনগুন করতে করতে কালকের জন্য ব্যাগ গুছাচ্ছিলাম। সকালবেলা না উঠতে পারলেই বিপদ, ট্রেন যে সকাল ৬ঃ৩০ টার।

কিছুটা জোর করেই মাকে দিয়ে কম দামে নন-এসি কোচের টিকেট কাঁটালাম। কারন একটাই। জীবনের সব এচিভমেন্ট একদিকে, ট্রেনে জানালার পাশের সিট নিজের দখলে নিয়ে চোখ বন্ধ করে খোলা চুলে বাতাসের ঝাপটা খেতে খেতে স্বাধীনতার শান্তি উপভোগ করার এচিভমেন্ট আরেকদিকে। এইযে এই স্বাধীনতা সেটা এসি কোচের সিট এ পাওয়া যেত না।

অনেক্ক্ষণ আকাশ বাতাস চিন্তা শেষে আম্মুকে হঠাত বলে উঠলাম, “আমার অনেক টাকা পয়সা লাগবে আম্মু, জানো কেনো?” আম্মুকে কেনো জিজ্ঞেস করার সুযোগ না দিয়েই বলা শুরু করলাম, “প্রতিদিন সকালে একটা ভারি মন নিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠি, জীবন ভার্সিটি লাইফ শেষ হওয়ার আগেই কিভাবে এত কম্পলেক্স হয়ে গেল তা নিয়ে অনেক্ষন চিন্তা করি, তারপরে কিছুক্ষন ভাবি যদি নিজের স্বপ্নগুলা পুরন হওয়ার আগেই মরে যাই..তাইলে? তার থেকে ভাল হাতে টাকা থাকবে, যেদিন মন খারাপ থাকবে সেদিন অজানার উদ্দেশ্যে রওনা দিব। বান্দরবান, খুলনা, বরিশাল ঘুরব, হয়ত সেখানে গিয়ে পিছন থেকে কেও নাগিয়া বলে ডাক দিবে অথবা কেও এসে হয়ত বলে উঠবে, “নাজিয়া, রাইট?!”,

টাকা থাকলে একদিন আবারো langkawi যাব, আবারো শুনব মালায়শিয়ায় পুলিশের চাকরি ছেড়ে দিয়ে langkawi এসে tour guide এর চাকরি নেয়ার গল্প কারন সেখানে কোনো চুরি, ডাকাতি, দাংগা কিছুই নেই। বুঝলা আম্মু, money begets happiness, coz it lets you travel and travelling broadens your mind. No regrets, no tension. Only peace…এইজন্যই এখন একটু কষ্ট করব, তারপরে ৩০ এর পরে এনাফ টাকা হইলেই…”, বলতে না বলতে পাশে ঘুরতেই দেখি আম্মু ঘুমিয়ে গেছেন৷ এক দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে আবারও জানালার বাইরে তাকালাম, রাজশাহী কখন পৌছাবো এই নিয়ে চিন্তা করতে না করতেই ঘুম ভেংগে গেল। এখন বাজে সকাল সাড়ে আটটা, এমএল এর পরিক্ষা ছিল আটটায়, এখন বাসা থেকে ১০ কি.মি পাড়ি দিয়ে এমআইএসটি গিয়ে পরিক্ষা দিয়ে কি হবে ভেবে আবার ঘুম দিলাম, যাই এইবার একটু চিটাগাং ঘুরে আসি।

This post is licensed under CC BY 4.0 by the author.

University Life Review : Part 2 ft আমার মা

Higher Studies Preparation Guide: IELTS and GRE